মে দিবস হচ্ছে ইংরেজি মে মাসের প্রথম তারিখ। এ দিনটা বিশ্বের ইতিহাস একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটির সাথে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের মহানত্বকের ঘটনা জড়িত। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের উন্নত জীবনযাপনের লক্ষ্যে আত্ম বলিদান এর এ ঘটনার সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করে সারা বিশ্বের দিনটি পালিত হয়। শ্রমিকদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্য সংঘবদ্ধ হওয়ার বিরল ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
শোষক শ্রেণীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ক্রমিকের এ আন্দোলন ছিল একটি চমৎকার বিজয়। তাই এই দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। অনেকেই শ্রমিক দিবস নিয়ে অনলাইনে উক্তি বাণী ও কবিতা অনুসন্ধান করেন। আমরা আজকের এই প্রশ্ন শেয়ার করব শ্রমিক দিবস নিয়ে উক্তি, বাণী, কবিতা ও স্লোগান।
শ্রমিক দিবস নিয়ে উক্তি
“শ্রম কখনো অপমানজনক নয়; বরং অলসতাই অপমানজনক।” — সোক্রেটিস (Socrates)
“পরিশ্রম এমন একটি চাবি, যা সাফল্যের সব দরজা খুলে দেয়।” — টমাস এডিসন (Thomas Edison)
“কাজ মানুষের জীবনের গৌরব।” — কার্ল মার্ক্স (Karl Marx)
“শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি দাও।” — হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)
“শ্রম ছাড়া উন্নতি অসম্ভব।” — নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
“সেই মানুষ ধনী, যে তার পরিশ্রমে সম্মান পায়।” — মহাত্মা গান্ধী
“বেকার হাত শয়তানের কারখানা।” — ইংরেজি প্রবাদ
“শ্রমিকেরা জাতির মেরুদণ্ড।” — বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
“মানবজাতির অগ্রগতির পিছনে শ্রমিকদের পরিশ্রমই সবচেয়ে বড় অবদান।” — জন এফ কেনেডি
“আসল নায়ক তারা, যারা হাতের ক্যালাসে জাতিকে গড়ে তোলে।” — নাম না জানা
“শ্রমিক দিবস হলো পরিশ্রমের প্রতি সম্মান জানানোর দিন।” — বারাক ওবামা
“একজন সৎ শ্রমিক দেশের জন্য আশীর্বাদ।” — আব্রাহাম লিঙ্কন
“যারা ঘাম ঝরিয়ে পৃথিবী গড়ে, তারাই সত্যিকারের গৌরবের অধিকারী।” — জন রুস্কিন
“পরিশ্রম কর, তবে তা যেন তোমার আত্মসম্মান নষ্ট না করে।” — কনফুসিয়াস
“শ্রমই জীবন, শ্রমই শক্তি, শ্রমই গর্ব।” — নাম না জানা
“শ্রমিকের হাতে গড়া হয় সভ্যতার ভিত।” — মার্কসবাদী দর্শন
“শ্রমিক ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, প্রযুক্তি শুধু একটি সহায়ক মাধ্যম।” — বিল গেটস
“পরিশ্রম এমন এক পুঁজি, যা কখনও নিঃশেষ হয় না।” — হেনরি ফোর্ড
শ্রমিক দিবস নিয়ে বাণী
“শ্রমই শক্তি, শ্রমই সম্মান – শ্রমিকই জাতির প্রকৃত কারিগর।”
“যে হাতে ঘাম ঝরে, সে হাতেই ভবিষ্যৎ গড়ে।”
“শ্রমিকের ঘামে গড়ে উঠে সভ্যতা, গড়ে উঠে উন্নয়ন।”
“পরিশ্রমী মানুষই প্রকৃত বীর, যারা নীরবে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”
“জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে শ্রমিকের উপর। সম্মান করো শ্রমিককে, সম্মান করো দেশকে।”
“তাদের ঘামে আমাদের ঘর, শহর ও দেশ – তারা শ্রমিক, তারা আমাদের গর্ব।”
“মজুরি নয় শুধু, চাই মর্যাদা – শ্রমিকের অধিকার হোক সবার অগ্রাধিকার।”
“ক্লান্ত হাতে যাদের গাঁথা উন্নয়নের গল্প, তাদের জন্যই শ্রমিক দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
“শ্রমিকের অধিকার মানেই মানবাধিকারের বাস্তব রূপ।”
“শ্রমিক দিবস শুধু ছুটি নয়, এটি শ্রদ্ধা জানানোর দিন।”
শ্রমিক দিবস নিয়ে কবিতা
ঘামে ভেজা হাত দু’খানি, যেন গল্প বলে,
ইট-পাথরের শহর জুড়ে, তারই রক্ত জলে।
নীরবে সে গড়ে তোলে, সোনার এই দেশ,
অভিনন্দন দেয় না কেউ, নেই কোনো বেশ।
পিঠের ঘামে বয়ে আনে, অন্নের রঙিন দিন,
শিশুর হাসি, স্বপ্ন বোনা, সব তারই অর্জন।
তবুও সে ক্লান্ত হাসে, রোদে-জলে মেশা,
শ্রমিক শুধু নাম নয়, সে তো এক দিশা।
মজুরি পায়, মেলে না তবু পূর্ণ মর্যাদা,
অধিকার কেবল পাতায়, বাস্তবে আধা-আধা।
এই দিনে করি অঙ্গীকার, হোক সম্মান সবার,
শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, উঠুক সেই হুংকার।
এই কবিতাটি আপনি চাইলে স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করতে পারেন বা ফেসবুক ও পোস্টারে ব্যবহার করতে পারেন।
চাইলে আমি ছোট আকারের ছড়া বা শিশুদের উপযোগী কবিতাও করে দিতে পারি। আপনি কী ধরনের কবিতা পছন্দ করেন? (আবৃত্তির জন্য, পোস্টারের জন্য, বা শিশুদের জন্য?)
শ্রমিক দিবস নিয়ে স্লোগান
শ্রমিক বাঁচলে, দেশ বাঁচবে।
ঘামে গড়া স্বপ্ন, শ্রমিকের অর্জন।
পরিশ্রমের মর্যাদা দাও, শ্রমিকের অধিকার চাও।
শ্রমিকের ঘামেই গড়ে সভ্যতা।
অধিকার চাই, দয়া নয়।
শ্রমিকের জীবন হোক নিরাপদ ও সম্মানজনক।
ঘাম ঝরিয়ে যারা গড়ে দেশ, তাদের দাও প্রাপ্য স্পর্শ।
শ্রমিক দিবস মানে অধিকার ও সম্মানের দিন।
পরিশ্রমের মূল্য দাও, অবহেলা নয়।
শ্রমিককে অবহেলা নয়, কৃতজ্ঞতা জানাও।
শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত করো, দেশকে শক্তিশালী করো।
শ্রমিক শুধু শ্রমিক নয়, জাতির কারিগর।
শ্রমিকের সম্মান, জাতির মান।
শ্রমিক দিবসে হোক ঐক্যের শপথ।
শ্রমিকেরা পিছিয়ে পড়লে দেশ থেমে যাবে।
শ্রমিক মানে শক্তি, শ্রমিক মানে প্রগতি।
পরিশ্রমই উন্নয়নের মূলধন।
শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করো, মানবাধিকার রক্ষা করো।
অবহেলা নয়, শ্রমিকের পাশে দাঁড়াও।
শ্রমিকের রক্ত-ঘামে গড়া ভবিষ্যৎ অবহেলার নয়।
শ্রমিকের সম্মানে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ।
শ্রমিকরা ভাঙে, গড়ে; তাই তাদের জন্য হোক গর্বের মঞ্চ।
শ্রমিকের ঘামে হাসে দেশ – দাও তাদের সন্মান ও স্বস্তি শেষ।
শ্রমিককে ভালোবাসা মানে জাতিকে ভালোবাসা।
তাদের ঘামে আমাদের ঘর – শ্রমিক দিবসে হোক কৃতজ্ঞতার খবর।
শেষ কথা
মে দিবস শ্রমিকদের চিন্তা ও চেতনাকে জাগ্রত করে তোলার দিবস। যদিও অনুন্নত দেশগুলোর কারখানার মালিকদের শোষণ এখনো বন্ধ হয়নি তবুও তারা সারাক্ষণই শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে রয়েছে। তাদেরও উচিত শ্রমিকদেরকে মানুষ হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাদের ন্যায় সঙ্গত অধিকার মেনে নেওয়া। তাই বর্তমান সময়ে শ্রমিক দিবসকে আন্তর্জাতিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
আশা করি কবিতা ও স্লোগান আপনারা এই পোস্ট থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছেন।