১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জেনে নিন

ব্যবসা করার জন্য অনেক পুঁজির,প্রয়োজন পরে দক্ষ এবং অনেক শ্রমের। অনেকেরই শ্রম এবং ভালো দক্ষতা থাকলেও শুধুমাত্র পুঁজির অভাবে ব্যবসা করতে পারে না। অনেকে আবার রয়েছেন যারা বাধ্য হয়ে চাকরি করছেন, কিন্তু তারা একটা ভালো সুযোগ পেলে ব্যবসার মধ্যে ভালো একটা কিছু করতে পারবে। এমন সব মানুষের জন্য আজকের এই পোস্টটি। আজকের এই পোস্টে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসা করার আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করব।

সূচিপত্র

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

দেশের বাজারে অনেক মানুষ আছে যারা চাকরি পাচ্ছে না। এজন্য তাদের একটা চিন্তা মাথায় সবসময় ঘোরাঘুরি করে চাকরি না পেলে আমরা করবো কি। চিন্তার কোন কারণ নেই আপনারা অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেনে। ১০ হাজার টাকায় অনেক ভালো ভালো ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করলে আপনারা সফল হতে পারবেন। ১০ হাজার টাকায় একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান? একটি সুস্থ, চিন্তামুক্ত এবং অপার্থ্যিক ব্যবসা পরিচালনার জন্য কিছু আইডিয়া নিচে দেওয়া হয়েছে।

১. অনলাইন বইয়ের ব্যবসা

আপনি কোন ক্ষেত্রে বই বিক্রি করতে চান, তা স্পষ্ট করুন। উদাহরণস্বরূপ, কিছু নিশ্চিত ক্যাটাগরিতে বা কোন নিদিষ্ট লোকাল লেভেলে বই বিক্রি করতে চান তা নির্ধারণ করুন। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করে বই বিক্রি করা যেতে পারে। এছাড়াও ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে বই বিক্রি করতে পারেন অথবা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে বইয়ের ব্যবসা করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা করে খুব অল্প সময়ে লাভবার হওয়া যায়।

২. অনলাইনে বেকারি ব্যবসা

ঘরে বসে কেক বা বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করতে পারেন। এবং সেই তৈরি করা খাবার আপনারা চাইলে ফেসবুকে মাধ্যমে খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুক গ্রুপে গ্রাহক বাড়ানোর জন্য আপনারা ফুডিস গ্রুপে জয়েন করতে পারেন। সেখান থেকে আপনি ভালো পরিমাণ গ্রাহক পেয়ে যাবেন এবং তাদের কাছে ঘরে বসে কেক বা বিভিন্ন রকম করা খাবার তাদের কাছে বিক্রি করতে পারবেন।

৩. ভিডিও এডিটিং করা

বর্তমান সময়ে অনলাইন প্লাটফর্মে আপনারা অবশ্যই ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখেন। সেই ভিডিও করার সাথে সাথেই কিন্তু আপলোড করে দেয় না সেটা এডিট করতে হয়। অনেকেরই সময়ের ক্ষেত্রে এডিট করার জন্য মানুষ প্রয়োজন হয়। ভিডিও এডিট করার জন্য একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর প্রয়োজন হয়। আপনার যদি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকে, তবে ১০ হাজার টাকার কমে ভালো একটি ভিডিও এডিটিং কোর্সে এনরোল করে এডিটিং শিখতে পারেন। ভিডিও এডিটিং যদি ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪. ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং

ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং হলো অনলাইনে লেখা লেখি কাজের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। এটি একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং অনেক ব্যক্তি এই পথে সফল হচ্ছেন। আপনি একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লিখে খুব সহজেই ঘরে বসে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকার আপনার একটি ল্যাপটপ হলেই চলে যাবে। বাংলা কিংবা ইংলিশ উভয় ভাষা দিয়েই কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। ইংরেজি লিখতে পারলে অনেক ক্লায়েন্ট পাবেন যারা আপনার কন্টেন্ট এর জন্য ভালো দাম দিবে। কপিরাইটিং, এসইও কন্টেন্ট সহ অনেক ধরণের কন্টেন্ট আছে। কন্টেন্ট রাইটিং শিখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৫. ওয়েডিং প্লানার

আপনি চাইলে ওয়েডিং প্লানার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় অনেক পরিবার বিয়ের ঝামেলা নিজের ঘাড়ে নিতে চায় না। তারা বিয়ের অনুষ্ঠানটি সব ঝামেলা ওয়েডিং প্লানার হায়ার করে তাদের উপর দিয়ে দেয়। ১০ হাজার টাকায় আপনি বিয়ের ওয়েডিং প্লানার এর সকল সরঞ্জাম কিনে এই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

৬. অনলাইনে টিউশন 

আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতা অনেক ভালো থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে টিউশন শুরু করে দিতে পারেন। যেহেতু বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমেই সবকিছু করা সম্ভব। আপনি যদি অনলাইনে ভালোভাবে টিউশন করাতে পারেন তাহলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকার অনলাইনের সকল সরঞ্জাম কিনে আপনি অনলাইনে টিউশন শুরু করে দিতে পারেন।

৭. অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ফেসবুকে অনেক সময়ই দেখেন অনেক রকম কাপড়ের অ্যাড চলে আসে। ঘরে বসে না থেকে আপনারা চাইলেও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে অথবা ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে জয়েন হয়ে আপনি কাপড় বিক্রি করতে পারবেন। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনি অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৮. সিজনাল ফলের ব্যবসা

আপনারা চাইলে সিজনাল ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সিজনাল ফলের ব্যবসায় অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ আমরা ডাব অথবা জাম্বুরার কথাই বলি। অনেকেই আছেন যারা ডাব এবং জাম্বুরার ব্যবসা করে অনেক টাকা আয় করে। প্রতিটি সিজনে আলাদা আলাদা ফল আসে এভাবে আপনারা চাইলে সিজনাল ফলের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।  ১০ হাজার টাকায় প্রতি সিজনে আলাদা আলাদা ফল কিনে আপনারা বাজারে সেগুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।

৯. দর্জির দোকান

আপনারা দর্জির কাজ শিখে দর্জির দোকান দিতে পারেন। বর্তমান সময়ে দর্জির কাজে অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য আপনার দর্জির কাজ শিখতে হবে। দর্জির কাজের সকল সরঞ্জাম ১০ হাজার টাকার মধ্যে আপনি কিনতে পারবেন। এবং সে অল্প পুঁজি দিয়ে আপনি খুব সহজেই দর্জির ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

১০. ছোট খাবারের দোকান

পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট খাবারের দোকান দিয়ে নিলে অনেক ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। অনেক ভারসিটি পরোয়া ছেলে ছোট খাবারের দোকান দিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করছে খুব অল্প বিনিয়োগে। বিকেল থেকে রাত ৯ টা বা ১০ টা অবধি খাবারের দোকান চালান তাহলে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। ১০০০০ টাকায় ছোট খাবারের দোকান দিয়ে আপনি ভালো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং ভবিষ্যতে যদি আপনার ছোট খাবারের দোকানটি অর্থের দিক দিয়ে বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনি বড় একটি রেস্টুরেন্টও দিয়ে নিতে পারবেন।

১১. খাবারের হোম ডেলিভারি

আজকের কর্মব্যস্ততার যুগে রোজ রান্না করার সুযোগ হয় না অনেকেরই,আবার প্রতিদিনও হোটেলের খাবার খেতে চান না বেশিরভাগ। এই চাহিদা মেটাতেই শুরু হয়েছিল খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা। নিজের বাড়িতে রান্না করে পৌঁছে দিন বাড়ি বাড়ি। সময় মত সুস্বাদু খাবার দিতে পারলে ব্যবসার অভাব হবে না। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের এদিকে এ ব্যবসার সুযোগ বেশি। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনারা খাবারের হোম ডেলিভারি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

১২. জুস তৈরি

ফলের রসের দোকান। প্রথমেই বেছে নিতে হবে ভালো একটি জায়গা। এমন জায়গায় ফলের রসের দোকান দিতে হবে যাতে সহজেই সবার চোখে পড়ে। যদি আশেপাশে স্কুল, কলেজ, অফিস অথবা কোর্ট এগুলো থাকে তাহলে সেখানেই ফলের দোকান দেওয়া উচিত। সেখানে জুস তৈরি চলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। ১০ হাজার টাকায় ফলমূল কিনে এ ব্যবসাটি খুব সহজেই করতে পারবেন।

১৩. ট্রাভেল এজেন্সি

অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে চাইলে বাসের টিকিটের ব্যবসা করার কথা ভাবতে হবে। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে পারবেন। স্বল্প মূলধনে ব্যবসা করতে চাইলে সবথেকে সহজ উপায় হল হোস্ট এজেন্সির সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। প্রাথমিক বিনিয়োগ নির্ভর করে হোস্ট এজেন্সির উপর, কিন্তু তা ১০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব।

১৪. ফুচকা বা চটপটির ব্যবসা

ব্যবসায় ছোট বড় বলতে কিছুই নেই যাদের যেমন পুঁজি সে সেরকম ব্যবসা করবে এটাই স্বাভাবিক। অল্প পুজিতে এই ব্যবসাটা অনেক ভালো ব্যবসা। কারণ ফুচকা বা চটপটি এটা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফুচকা বা চটপটির ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনি যদি একটি দোকান দিতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হয়। ধোকার দিব বিশেষ করে স্কুল অথবা কলেজের সামনে দিলে বেশি চলা সম্ভব। কেননা ফুচকা বাচটপটি ছাত্রছাত্রীরা অনেক বেশি পছন্দ করে। ১০ হাজার টাকায় ফুচকা বাজার চটপটির ব্যবসা শুরু করে দিলে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৫. কাগজের পলিথিন তৈরি করা

কাগজের পলিথিন তৈরি করার এ ব্যবসায় পরিশ্রম একটু বেশি। কিন্তু এই কাগজের পলিথিন বিক্রিও অনেক বেশি হয়। যদি আপনার বিক্রি বেশি হয় তাহলে আপনার লাভ বেশি হবে। এই ব্যবসাটি আপনি ১০ হাজার টাকা শুরু করতে পারবেন।

১৬. পুরোনো বইয়ের দোকান

অনেক মানুষ আছে যারা পুরোনো বই বিক্রি করে দেয় আবার অনেক মানুষ আছে যারা পুরনো বই ক্রয় করে। আপনি এ ব্যবসাটি খুব সহজেই করতে পারেন। আপনি চাইলে অনলাইনেও এই ব্যবসাটি করতে পারেন অথবা অফলাইনও করতে পারেন। প্রথমে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগের মধ্যে এই ব্যবসাটি করা সম্ভব।

১৭. কাঁসা-পিতলের ব্যবসা

১০ হাজার টাকার ২৫ টি আইডিয়ার মধ্যে কাঁসা পিতলের ব্যবসার আইডিয়া অন্যতম। কাঁসা এবং পিতলের প্রাইস অনেক বেশি। এগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হয়।এই ব্যবসাটি আপনি অনলাইনে মাধ্যমেও করতে পারেন অথবা অফলাইনেও করতে পারেন। দুইভাবে করলেই এটির মধ্যে অনেক লাভবান হওয়া যায়। ১০ হাজার টাকা পুঁজি থাকলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য অনেকটাই ভালো হবে।

১৮. ক্যাটারিং ব্যবসা

১০ হাজার টাকায় ক্যাটারিং এর ব্যবসা করে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসাটি করতে গেলে আপনাকে পরিশ্রম অনেক বেশি করতে হবে। কারণ এ ব্যবসায় পরিশ্রম অনেকটাই বেশি। এভাবে সেটি করার ক্ষেত্রে আপনাকে ক্লাইন্ট জোগাড় করতে হবে। এরপরই আপনি তাদের ক্যাটারিং এর সেবা দিতে পারবেন।

১৯. বাইক বা কারওয়াশ এর ব্যবসা

বাইক বা কার ওয়াশ এর ব্যবহার অনেক জনপ্রিয় একটি আইডিয়া। এই ব্যবসাটি শহরাঞ্চলে এবং গ্রাম অঞ্চলেও বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে প্রতিটা ঘরেই প্রায় বাইক রয়েছে। আর বাইক কিছুদিন পরপরই ওয়াশ করা লাগে। যার কারণে ১০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসাটি করে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। আপনারা চাইলে সর্বোপটিতে বাইক অথবা কার ওয়াশের ব্যবসাটি করতে পারেন।

২০. পোষা প্রাণীর খাবার বা কেয়ারিং প্রোডাক্ট এর ব্যাবসা

পোষা প্রাণীর খাবার বা কেয়ারিং প্রোডাক্ট আপনারা চাইলে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। পেট কেয়ারিং ফুড এগুলো বাহিরের দেশে অনেক জনপ্রিয়। বাইরের দেশে অনলাইনে এই প্রোডাক্ট খুব বিক্রি হয় কিন্তু বাংলাদেশে পোষা প্রাণীর খাবার বা কেয়ারিং প্রোডাক্ট এর অনলাইন কোন পেজ তেমন একটা নেই। আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন যেহেতু এই ব্যবসাটি খুব একটা বাংলাদেশের জনপ্রিয় না। তবে আপনি ১০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসাটি শুরু করলে আপনি খুব অল্প সময়ে লাভবান হতে পারবেন।

২১. ট্যুর গাইড

বাঙালী বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। আর তার জন্য তারা অনেক সময়েই নির্ভর করে ট্যুর গাইডের ওপর। ফ্লাইট, ট্রেনের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ ট্যুরটি প্ল্যান করা পুরোটার দায়িত্ব আপনার। অফিস, স্কুল বা কলেজের ট্যুর করাতে পারলে নিয়মিত ব্যবসা পাওয়া সম্ভব। তাই দশ হাজার টাকার মধ্যে 

২২. কাস্টমাইজড গয়না তৈরির ব্যাবসা

আপনি চাইলে নতুন ধরনের গয়না তৈরি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনি অনলাইনে শুরু করতে পারবেন।  ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ধরণের গয়না তৈরির উপকরণ সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন বাজারে। গয়নার সকল সরঞ্জাম আপনি ১০ হাজার টাকার মধ্যেই কিনে নিতে পারবেন। 

২৩. মেকআপ টুলের ব্যবসা

অল্প পুজিতে আপনি মেকআপ টুল এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ আছে যারা মেকআপ করার জন্য বিভিন্ন বিউটি পার্লারে যায়। বর্তমান সময়ে অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজেই ঘরে সাজতে অনেক বেশি ভালোবাসে। যার কারনে অনেকেরই মেকআপ করার জন্য বিভিন্ন টুল প্রয়োজন হয়। আপনারা চাইলে মেকাপের বিভিন্ন জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। ১০ হাজার টাকার মধ্যেই এই ব্যবসা করা সম্ভব।

২৪. অনলাইন  ভাষা শিক্ষা

আপনার যদি কোনও বিদেশী ভাষা জানা থাকে, তাহলে সেই দক্ষতা ব্যবহার করে সহজেই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন। ছোট থেকে বয়স্ক, বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রী পাওয়া সম্ভব। ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়। অল্প পুজিতে আপনি অনলাইন ভাষা শিক্ষার জন্য সরঞ্জাম কিনে নিতে পারবেন। তবে এই ব্যবসা করতে সংশ্লিষ্ট ভাষায় আপনাকে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে নিশ্চিতভাবেই, হতে হবে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ও ধৈর্যশীল।

২৫. মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা

কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা করতে হলে বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দেওয়া একটা সহজ উপায়। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। শহরাঞ্চল ও শহরতলিতে বহু পরিবারই পানির জন্য নির্ভর করে এই পানি বিক্রেতাদের ওপর। এই কাজ পরিশ্রমসাধ্য, ভ্যানে করে পানির ড্রাম টেনে নিয়ে যেতে হয় এ পাড়া থেকে ও পাড়া। যদি কাজে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে আপনি লাভবান হতে পারবেন।

আড়ও পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়

শেষ কথা

১০ হাজার টাকা ব্যবসা করার আইডিয়া আছে অনেক তবে আপনাকে বুঝতে হবে বাজারে কোনটার চাহিদা বেশি। বাজারে যেটার চাহিদা বেশি সেই অনুযায়ী আপনি ১০ হাজার টাকার মধ্যে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। যদি আপনার ব্যবসার প্রতি দক্ষতা থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন ১০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।