ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম

ড্রাইভিং লাইসেন্স হচ্ছে দলিল স্বরূপ। যেটা গাড়ির নিজস্ব মালিকানার মধ্যে থাকে। যাদের গাড়ি রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স করা উচিত। যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স করা থাকে গাড়ি যদি হারিয়েও যায় তাহলে খুব সহজেই সেটি অনুসন্ধান করা যায়। আর যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে তাহলে সে গাড়ি যদি হারিয়ে যায় তাহলে সেটা অনুসন্ধান করতে অনেক সমস্যা হয়। এর জন্য প্রত্যেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চায় কিন্তু এর নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের জানাবো ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে

যারা গাড়ি কিনে বা যাদের গাড়ি থাকে তাদের প্রত্যেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হয় এটা সরকার থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে আপনি বিভিন্ন জায়গায় হয়রানির শিকার হতে পারেন। এজন্য প্রত্যেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চায়। কিন্তু অনেকেই জানেনা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে। এখান থেকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা খরচ হয়।

  • মোটরসাইকেল বা হালকা মটরযানের যেকোনো একটির জন্য ৩৪৫ টাকা লাগে।
  • মোটরসাইকেল বা হালকা মোটরযানের একসঙ্গে লাইসেন্স করতে ৫১৮ টাকা লাগে।
  • ৫ বছরের নবায়ন ফি সহ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি ১৬৮০ টাকা।
  • ১০ বছরের নবায়ন ফি সহ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স ২৫৪২ টাকা।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম 

আপনারা যারা গাড়ি কিনবেন তাদের প্রত্যেকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হবে এটি বাধ্যতামূলক। এটি সারা বর্তমান সময়ে কোন গাড়ি আপনি চালাতে পারবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া যদি গাড়ি চালান এটি আইনত অপরাধ। এর জন্য এখন প্রত্যেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চায়। কিন্তু কিভাবে করবে অনেকেরই এটা জানা নেই। নিচে ড্রাইভিং লাইসেন্স কিভাবে করবেন তার নিয়ম জানানো হলো।

  • প্রথমে আপনাকে BRTA অনুমোদিত অফিসে যেতে হবে।
  • যে ড্রাইভিং লাইসেন্স করবে তার এনআইডি/জন্ম নিবন্ধন/পাসপোর্ট এর ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে।
  • এরপর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • অনুমোদিত যেকোন রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সনদপত্র।
  • এরপর একটি ফর্ম দেওয়া হবে পূরণ করে আপনাকে ব্যাংক বরাবর আপনি যে লাইসেন্স করতে চান তার ওপর নির্ভর করে অর্থ প্রদান করতে হবে। 
  • অভিজ্ঞতা হিসেবে ড্রাইভিং শেখার তিন মাসের অধিক ড্রাইভিং করার সনদের পাশাপাশি আপনাকে লিখিত এবং মৌলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • সকল তথ্য দিয়ে এরপর ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রশিদ সহ ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
  • এরপর আপনার তথ্য যাচাই করে নির্ধারণ করা হবে আপনি যোগ্য কিনা ড্রাইভিং লাইসেন্সের।
  • যোগ্য হলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হবে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য কি কি প্রয়োজন

আপনারা যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাদের অবশ্যই কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হবে, যেগুলো ছাড়া আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারবেন না। আমাদের মাঝে এরকম অনেক মানুষ আছে যারা জানো না ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • নির্ধারিত ফরম আবেদন।
  • রেজিস্টার ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • এন আইডি/ জন্ম সনদ/ পাসপোর্ট এগুলোর মধ্যে যেকোন একটির ফটোকপি।
  • নির্ধারিত ফি ( পেশাদার হলে ২৪২৭ এবং অপেশাদার হলে ৪১৫২ টাকা ) বিআরটি এর নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দানের রশিদ।
  • পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন।
  •  দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

শেষ কথা 

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে জানাতে পেরেছি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স করবেন। আরো বিভিন্ন রকমের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।