রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

কোলেস্টরেল আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। এটির মাধ্যমে হরমোন উৎপাদন চর্বি ও নতুন কোষ গঠনে অংশগ্রহণ করে থাকে। তবে কোলেস্টরেল দেহের মধ্যে বেশি পরিমাণ হয়ে গেলে তখন দেহের অনেক ক্ষতি হয়। কারণ কোলেস্টরেল বেশি থাকার জন্য অ্যাথেরো স্কোলোরোসিস রোগ হতে পারে। এতে আমাদের রক্তনালীর দেয়াল শক্ত ও সরু হয়ে যায়। এর জন্য মানুষের মৃত্যু হতে পারে সঠিক সময় মত যদি চিকিৎসা না করা হয়। কিভাবে আপনারা এই কোলেস্টরেল কমাতে পারবেন সেই উপায় আজকের এই পোস্টে জানাবো।

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা

কোলেস্টেরল স্বাস্থ্যের জন্য মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ঘাতক হতে পারে, যদি এটি অতিরিক্ত মাত্রাতে থাকে। এটি মূলত মূল্যবান প্রোটিন ও লিপিডগুলি যা খাদ্যে আসায় উৎপন্ন হয়। একটি শ্রেষ্ঠ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হল: নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যকর খাবার সংগ্রহে এবং ব্যায়ামের সাথে সমন্বিত সমন্বয় করা। কোলেস্টেরল কমানোর খাবার তালিকা এবং কোন ধরনের আহার খেতে হতে পারে তা নিম্নলিখিত।

  • ফলমূল: ফলমূলে প্রায়শই শক্তিশালী প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো ফল হল: আপেল, পেয়ার, কীউই, পরম এবং পোমেলো।
  • শাকসবজি: বিভিন্ন রঙ এবং প্রকারের শাকসবজি খেতে সাহায্য করে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে। লাউ, স্পিনাচ, কেললার্ড গ্রিন, ব্রোকলি এবং কেলসায়েফ এ সমৃদ্ধ কিছু উল্লেখযোগ্য শাকসবজি।
  • পুল্স (ডাল): ডালে বেশি প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, এবং এটি প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংসের পরিবর্তে ভাল একটি বিকল্প।
  • শুকনো ফল এবং নাটকবীজ: বাদাম, আখরোট, চীনাবাদাম, মগজ এবং নাটকবীজে অধিকাংশই অমেগা-3 ফ্যাটি থাকে যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  • মুখ্য ধান্য ও অন্যান্য পূর্ণানুঙ্গ খাবার: পূর্ণানুঙ্গ খাবার যেমন স্বাদু আলু, স্বাদু পটল, বার্লি, কুইনোয়া এবং ব্রাউন রাইস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • অমেগা-3 মত্তা: মাছের মত্তা, লিনসিড ওয়াইল এবং চিৎলমত্তা প্রাকৃতিক অমেগা-3 ফ্যাটির সৃষ্টি করে, যা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • গ্রীন টি: সবচেয়ে ভাল অপশন হল: গ্রীন টি, যেমন গ্রীন টি, ব্ল্যাক টি, ওলোঙ্গ টি এবং জাস্মিন টি।

কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

বর্তমানে কোলেস্টরেল সমস্যা প্রায় সবারই। কোলেস্টরেল যদি রক্তের মধ্যে না থাকে তাহলে আপনি অসুস্থ থাকবেন আবার কোলেস্টরেল যদি রক্তের মধ্যে খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এক্ষেত্রে কোলেস্টেরলকে রক্তের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাতে করে আপনি সব দিক থেকেই সুস্থ থাকেন। বেশিরভাগ মানুষেরই রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরল অনেক বেশি থাকে। যার কারণে তারা কোন উপায় খুঁজে পায় না। রক্তে আপনারা কিভাবে কোলেস্টরেল কমাবেন সেই উপায় আজকে জানাবো।

  • পুষ্টিকর খাবার: আপনার খাবারে সবজি, ফল, পূর্ণগ্রাম অঞ্চল, গোলা ধান, ডাল, মাংস এবং মাছের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে থাকতে চাইবেন।
  • গোলায় ধানের পণ্য: গোলায় ধানের পণ্য খেতে পারে আপনার কোলেস্টেরল স্তর কমিয়ে আনতে।
  • ফাইবার ধারণ করা: ফাইবার ধারণ করা কোলেস্টেরল স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে। খাবারে বেশি সংখ্যক ফাইবার সহজে পাওয়া যায়, যেমন: অট ব্র্যান স্যাট, পূর্ণগ্রাম ব্রেড, শাক-সবজি, ফল ইত্যাদি।
  • নির্দিষ্ট তরল প্রদান সীমাবদ্ধ করুন: মিষ্টি, তেল, এবং তালের খাবার সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করুন।
  • প্রোটিন ধারণ করা: উন্নত গুণমানের প্রোটিন খাওয়া কোলেস্টেরল স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার কোলেস্টেরল স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ওমেগা-3 মজুদ খাবার: মাছ, মাখন, গ্রেইনড ফ্ল্যাকস ইত্যাদি ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস হতে পারে, যা কোলেস্টেরল স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ওমেগা-6 এবং অমেগা-9 ব্যবহার সীমাবদ্ধ করুন: অতিরিক্ত ওমেগা-6 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকতে পারে কারণ এটি কোলেস্টেরল স্তর বৃদ্ধি করতে পারে। অমেগা-9 ফ্যাটি অ্যাসিড তেলে থাকে এবং এটি একটি উচ্চ কোলেস্টেরল স্তর সাম্প্রতিক চেষ্টা করতে পারে।
  • অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন: মাত্রা বিচারে অ্যালকোহল সেবন থেকে দূরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষেরই কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই বেশি। যার কারণে অনেকেই চিন্তায় থাকেন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কিভাবে কমাবেন। আপনারা চাইলে ঘরোয়া উপায়ে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন। এই ঘরোয়া উপায়গুলি অনুসরণ করতে আপনি প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল স্তর কমাতে সাহায্য করতে পারেন।

  • লেবু জুস: দিনে একবার খাওয়া লেবু জুস কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। লেবুতে প্যাকড ফোলিক এসিড এবং ভিটামিন সি থাকে যা প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল নির্বাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মেথি বীজ: মেথি বীজে ভাড়াট ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। রাতে মেথি বীজ ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খান।
  • গোলাপজাম: গোলাপজামে উচ্চ উচ্চ ফাইবার এবং পেক্টিন থাকে যা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • অট ব্র্যান: অট ব্র্যানে বেশি ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। এটি অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অথবা ত্রপ্তির ভাগ হতে সাহায্য করতে পারে।
  • আলুয়া ইসবগুল: আলুয়া ইসবগুল বিশেষভাবে স্থিত ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • গরম পানি সান্ত্রিত ব্যবহার করা: প্রতিদিন উপযুক্ত পরিমাণে গরম পানি পান করা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • শুকনো ফল খাওয়া: শুকনো ফলে ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
  • গোলাপ পানি: প্রতিদিন খালি পেটে একটি গ্লাস গোলাপ পানি পান করা কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।

শেষ কথা

আজকের এই পোস্টে আপনাদের সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি রক্তে কোলেস্টেরলে কমানোর উপায়। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পেরেছেন রক্তে কিভাবে কোলেস্টেরল কমাতে পারবেন। যদি এই পোস্টে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।