বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা লন্ডন গিয়ে পড়তে চায়। তবে লন্ডন যেতে অনেক টাকা লাগে বাংলাদেশ থেকে। অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা জানে না স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে। আমরা এই পোস্টে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে?
স্টুডেন্ট ভিসা কতদিন লন্ডনে থাকা যায়?
লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় কতদিন থাকা যাবে তা নির্ভর করে আপনার কোর্সের দৈর্ঘ্য এবং স্তরের উপর। এখানে প্রধানত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:
১. কোর্সের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভরশীলতা:
- স্বল্পমেয়াদি কোর্স (6 মাস বা কম): সাধারণত 6 মাসের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হয়।
- ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স: 11 মাস পর্যন্ত ভিসা পাওয়া যায় (Short-term study visa)।
- ডিগ্রি লেভেল কোর্স: ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি লেভেলের জন্য ভিসার মেয়াদ হবে কোর্সের দৈর্ঘ্য + অতিরিক্ত কিছু মাস (সাধারণত 2-4 মাস)।
২. পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা (Graduate Route):
আপনি যদি ডিগ্রি বা উচ্চশিক্ষার একটি কোর্স সম্পন্ন করেন, তবে আপনি পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন, যা আরও 2 বছর থাকার সুযোগ দেয় (পিএইচডি করলে 3 বছর)।
৩. নতুন নিয়ম এবং ভিসার মেয়াদ:
২০২৫ সালের জন্য লন্ডনের স্টুডেন্ট ভিসার নিয়মে কোনো পরিবর্তন থাকলে তা ইউকে ভিসা অফিসের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার ভিসার স্ট্যাম্পে বা অনুমোদন চিঠিতে সুনির্দিষ্ট মেয়াদ উল্লেখ করা থাকবে।
যুক্তরাজ্য স্টুডেন্ট ভিসা ফি কত?
যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি বর্তমানে £490, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৯,২৬৫ টাকা। এছাড়া, ভিসা আবেদনের সাথে স্বাস্থ্যসেবা সারচার্জ (IHS) প্রদান করতে হয়, যা আপনার কোর্সের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সময় সাধারণত ৩ সপ্তাহ, তবে প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত ফি দিয়ে প্রায়োরিটি বা সুপার প্রায়োরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত সেবা পাওয়া যায়। প্রায়োরিটি ভিসার জন্য অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য, যা ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে জানা যাবে। বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে
স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত অনেক জানতে চান। লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা কত টাকা খরচ হবে এক্সাট কেউ বলতে পারবে না। তবে ধারনে অনুযায়ী স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডন যেতে প্রথম বছরে আনুমানিক খরচ হবে: ২০-৪০ লাখ টাকা, যার মধ্যে টিউশন ফি এবং জীবনযাপনের খরচ অন্তর্ভুক্ত।
আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আর্থিক পরিকল্পনা নিশ্চিত করার জন্য একজন শিক্ষাগত পরামর্শদাতা বা ভিসা এজেন্টের সাহায্য নেওয়া উত্তম।