শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি, বাণী ও কবিতা

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন  একজন প্রমুখ বাঙালি কবিতা রচনার উদ্ভাবক এবং কাব্য সাহিত্যের একজন প্রতিষ্ঠিত কবি ছিলেন। তিনি ১৮৮১ সালে জন্মেন এবং ১৯৬৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন। শরৎচন্দ্রের জীবন এবং কাব্য জীবন পুরোপুরি কবিতা ও সাহিত্যের মধ্যে লেপে আছে। তিনি শিক্ষাপ্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষণ দিতে বলে নিজেকে প্রস্তুত করেননি, তাদের জীবনের মূল অংশ হয়ে উঠল তার কবিতা ও সাহিত্যের দিকে। তার রেখে যাওয়া উক্তি বাণী ও বিখ্যাত কিছু কবিতা এখনো অনলাইন অনেকেই অনুসন্ধান করে। আজকের এই পোস্টে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কিছু উক্তি বাণী ও কবিতা তুলে ধরব।

শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও সাহিত্য তার সময়ের বাঙালি সমাজের প্রতি তার গভীর সংস্কৃতির স্নেহ এবং দর্শনীয় চেতনার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সাথে কিভাবে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তা উল্লিখনীয়। শুধু তাই নয় তার কবিতার জীবনে সে অনেক উক্তি বলেছেন। এখানে শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কিছু উক্তি আপনাদের জানাবো।

  • ভালোবাসার ক্ষেত্রে সে’ই বুদ্ধিমান, যে ভালোবাসে বেশি কিন্তু প্রকাশ করে কম!
  • মহত্ত জিনিসটা কোথাও ঝাঁকে ঝাঁকে থাকে না। তাকে সন্ধান করে খুঁজে নিতে হয়।
  • রাজার আইন, আদালত, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত মাথার উপরে থাকিলেও দরিদ্র প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিঃশব্দে মরিতে হইবে।
  • রাগ করে শোয়া যেতে পারে কিন্তু রাগ করে ঘুমনো যায় না| বিছানায় পড়ে ছটফট করার মত শাস্তি আর নেই|
  • যাহার প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা নদীগর্ভে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে,সে আর খান কতক ইট বাঁচাইবার জন্য নদীর সহিত কলহ করিতে চাহে না৷
  • মরনে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহ-করস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে—যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়।
  • এতকাল জীবনটা কাটিল উপগ্রহের মত। যাহাকে কেন্দ্র করিয়া ঘুরি, না পাইলাম তাহার কাছে আসিবার অধিকার, না পাইলাম দুরে যাইবার অনুমতি।
  • পৃথিবীতে কোন সংস্কারই কখনও দল বেঁধে হয় না! একাকীই দাঁড়াতে হয়। এর দুঃখ আছে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাকৃত একাকীত্বের দুঃখ, একদিন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বহুর কল্যাণকর হয়। মেয়েকে যে মানুষ বলে নেয়, কেবল মেয়ে বলে, দায় বলে, ভার বলে নেয় না, সে-ই কেবল এর দুঃখ বইতে পারে, অপরে পারে না। আর কেবল নেওয়াই নয়, মেয়েমানুষকে মানুষ করার ভারও তারই উপরে এবং এইখানেই পিতৃত্বের সত্যকার গৌরব।

শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি

শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত বাণী

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা ও উপন্যাস বিশেষভাবে বাঙালি সাহিত্যে মহৎ মূল্যের ক্রিয়েশন ধারণ করে। তার কাব্য ও গল্পে মানব জীবনের প্রতি তার অদৃষ্টিকে এবং তার দর্শনীয়তা ব্যাপক স্বাধীনতা, সমাজবাদ, মানবিক ভাবনা, প্রেম, দুঃখ-সুখের ব্যাপারে ব্যক্ত হয়ে থাকে। তার কবিতা ও গল্পে গ্রাম্য জীবন, নীতি, সমাজ এবং মানব সম্পর্কে অধিকাংশ আলোচনা করে। নিচে শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কিছু বাণী তুলে ধরা হলো।

  • বড় প্রেম সব সময় কাছে টানে না। দুরেও ঠেলে দেয়!
  • কোনো বড় ফলই বড় রকমের দুঃখভোগ ছাড়া পাওয়া যায় না।
  • যে লোক দাবী করতে ভয় পায়, পরের দাবী মেটাতেই তার জীবন কাটে।
  • মনে করি চাঁদ ধরি হাতে দেই পেড়ে বাবলা গাছে হাত লেগে আঙুল গেল ছিড়ে!
  • তারাই মহৎপ্রাণ, যারা অন্যদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজের বিপদের কথা মনে রাখে না।
  • মন্দ তো ভালোর শত্রু নয়, ভালোর শত্রু তার চেয়েও যে আরও ভালো সে।
  • এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবটাই পরিপূর্ণ সত্য। মিথ্যার অস্তিত্ব যদি কোথাও থাকে, তবে সে মনুষ্যের মন ছাড়া আর কোথাও না।
  • যাহা জটিল ও দুর্বোধ্য, তাহা বিশদভাবে পরিষ্কার করিয়া বুঝাইয়া বলিবার সময় ও সুবিধা না হওয়া পর্যন্ত একেবারে না বলাই ভাল। ইহাতে অধিকাংশ সময়ে সুফলের পরিবর্তে কুফলই ফলে।
  • শিক্ষা, বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান, উন্নতি — যা কিছু সব সুখের জন্য। যেমন করেই দেখ না কেন, নিজের সুখ বাড়ানো ছাড়া এ সকল আর কিছুই নয়।
  • যে বস্তুরই হোক, শেষ পর্যন্ত ভেবে দেখা মানুষের সাধ্য নয়। যিনি যতবড় বিচক্ষণ পন্ডিতই হোন না কেন, শেষ ফলটুকু ভগবানের হাত থেকেই নিতে হয়।

শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কবিতা

শরৎচন্দ্রের জীবন এবং কাব্য জীবন পুরোপুরি কবিতা ও সাহিত্যের মধ্যে লেপে আছে। তিনি শিক্ষাপ্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষণ দিতে বলে নিজেকে প্রস্তুত করেননি, তাদের জীবনের মূল অংশ হয়ে উঠল তার কবিতা ও সাহিত্যের দিকে। এখনো আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কবিতা পড়তে চায়। এখান থেকে শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত একটি কবিতা আপনারা জানতে পারবেন।

আবির্ভূত কোন আনন্দের পাখি,

হাসপাতালে তার বিপদ পড়ি,

মরিয়াম নামের মেয়ে ওই পাখির,

প্রাণ নেয় সংবাদ তিনের গল্প হল।

 

যাহাকে ভালোবাসি সে যদি ভালো না বাসে,

এমনকি ঘৃণাও করে তাও বোধ করি সহ্য হয়!

কিন্তু যাহার ভালবাসা পাইয়াছি

বলিয়া বিশ্বাস করেছি, সেইখানে ভুল

ভাঙ্গিয়া যাওয়াটাই সবচেয়ে নিদারুন।

পূর্বের টা ব্যাথা দেয়। কিন্তু শেষের টা ব্যাথাও দেয়, অপমান ও করে।

 

ভেবেচো, বুঝি হঠাৎ করে করে

তোমাকে কুড়িয়ে পেয়েছিলুম?

কুড়িয়ে তোমাকে পাইনি,

পেয়েছিলুম অনেক তপস্যায়, অনেক আরাধনায়।

তাই, বিদায় দেবার কর্তা তুমি নও,

আমাকে ত্যাগ করার মালিকানা

স্বত্বাধিকার তোমার হাতে নেই।

শেষ কথা

শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কিছু কথা এখনো মানুষকে অনুপ্রেরণা জায়গা যার কারণে অনেক মানুষই শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি বাণী পড়তে চায়। আজকের এই পোস্টে শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত কিছু উক্তি বাণী ও কবিতা জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি ও কবিতা জানতে পেরেছেন। এরকম আরো বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।