অভিবাসী দেশ পর্তুগালে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না যে পর্তুগাল দেশের পাসপোর্ট পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই দেশে স্থায়ী হওয়া তুলনামূলক ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক সহজ। কারণ পর্তুগালের নাগরিকত্ব খুব সহজে লাভ করা যায়।
সেনজেনভুক্ত ইউরোপের এই দেশে জীবন যাপনের ব্যয় অনেক কম। আপনি যদি কাজের জন্য পর্তুগাল পারমিট ভিসা নিয়ে এই দেশে যেতে যান তারপর পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পর্তুগালে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
২০২৪ সালে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা বেড়েছে, বিশেষ করে দক্ষ শ্রমিক, আইটি, নির্মাণ, কৃষি এবং পর্যটন শিল্পে কাজের জন্য। পর্তুগাল ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় কিছুটা সহজ শর্তে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সুযোগ দিচ্ছে, যা এই ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুযোগ বাড়িয়েছে।
তবে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাদের তাদের দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে পর্তুগালের কোন দূতাবাস নেই। তবে ভারতের নয়া দিল্লিতে তাদের দ্রুত আবাস রয়েছে আপনারা সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা জমা দিয়ে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন
পর্তুগালের কাজের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি বেশ কিছু ধাপের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হয়। সাধারণত, আপনাকে প্রথমে একটি কাজের অফার পেতে হবে এবং তারপর সেই কাজের অফারের ভিত্তিতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এখানে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ দেওয়া হল।
সিলেক্ট করার পর আপনি কোন ভিসায় যেতে চাচ্ছেন সেটি সিলেক্ট করতে হবে।
এর পর Apply বাটনে ক্লিক করতে হবে।
করার পর আপনার সামনে নতুন একটি ইন্টারফেজ চলে আসবে।
সেখানে আপনার সকল তথ্য দেওয়ার পর পেমেন্ট করে সাবমিট করে দিলে আপনার ভিসা আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে?
বর্তমানে পর্তুগালের সরকার কয়েক ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিয়ে থাকে। আপনার ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা এবং কাগজপত্র আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে পর্তুগালের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে। এই পোস্টের নিম্নত্ব কাগজপত্র ছাড়া পর্তকালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে পারবেন না।
1 পাসপোর্ট কপি
2 ফটো।
3 ভিসা আবেদনপত্র।
4 কভার লেটার।
5 আমন্ত্রণ পত্র।
6 ফরোয়ার্ডিং লেটার/এনওসি।
7 অফিস আইডি কার্ড।
8 গত 6 মাসের জন্য ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
9 ব্যক্তিগত TIN সার্টিফিকেট।
10 বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের কপি।
11 ব্যক্তিগত আইটিআর শংসাপত্র (গত 3 বছর)।
13 ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেটের কপি
14 ওয়ার্ক পারমিট / চুক্তিপত্র।
15 কোম্পানির ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট।
16 কোম্পানি আইটিআর।
17 ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা।
18 এয়ারলাইন টিকিট বুকিং।
পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ কত
পর্তুগালের কাজের ভিসার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু টুরিস্ট ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসার খরচ অনেক কম। তবে আপনি যদি সরকারিভাবে পর্তুগাল কাজের ভিসায় যেতে পারেন তাহলে খরচ অনেক কম। আর যদি বেসরকারিভাবে আপনি দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ অনেক বেশি হয়ে যাবে।
বর্তমান সময়ে যদি সরকারিভাবে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকার মত লাগে। আর যদি বেসরকারিভাবে দালালের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে ফরজ আরো বাড়তে পারে। তবে অবৈধ পক্ষে জীবনের ঝুঁকি রয়েছে অনেক বেশি।
শেষ কথা
আশা করি আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা সবাই জানতে পেরেছেন কিভাবে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অনলাইনে আবেদন করবেন। তবে অবশ্যই আবেদন করার আগে আপনার মাথায় রাখতে হবে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যাওয়ার জন্য আপনার 10 থেকে 12 লক্ষ টাকার মতন খরচ হবে।
এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।