কিরগিজস্তান কাজের ভিসা আবেদন ও খরচ কত? কিরগিজস্তান মধ্য এশিয়ার একটি দেশ, যার উত্তরে রয়েছে কাজাখস্তান, পশ্চিমে উজবেকিস্তান, দক্ষিণে তাজিকিস্তান এবং পূর্বে চীন রয়েছে। কিরগিজস্তান এর রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর হচ্ছে বিশকেক। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে যারা কিরগিজস্তান কাজের ভিসায় যেতে চায়।
কিরগিজস্তান প্রবেশ করতে হলে প্রথমে কাজের ভিসা নিতে হবে। কয়েকদিন ধরে কিরগিজস্তান কাজের ভিসা সম্পর্কে ব্যাপক মানুষ কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন। কিরগিজস্তানের ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য সহজ কিনা এটা আগে জানতে হবে। এরপরে আপনাকে ভিসা আবেদন করার কথা ভাবতে হবে।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা
কিরগিজস্তানে গার্মেন্টস ও কনস্ট্রাকশন খাতে কাজের সুযোগ বেশি। বেতন কাঠামো কাজের ধরন ও প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে। তবে, গার্মেন্টস ও কনস্ট্রাকশন খাতে কাজের সুযোগ বেশি পাওয়া যায়। তাই কাজের ভিসা পেতে আপনার কাজের দক্ষতার ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। বর্তমানে কিরগিজস্তানে প্রায় ৩ ক্যাটাগরির কাজ চালু আছে। যেমন সাধারণ কাজ, বিশেষজ্ঞ কাজে ও প্রকল্প-ভিত্তিক বা সিজনাল কাজ।
এই ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে আবেদন করতে হবে। আর এই দেশের ভিসা আবেদন এজেন্সির মাধ্যমে করতে হবে। এতে আপনার খরচ ১ লক্ষ টাকার উপরে পড়বে।
কিরগিজস্তান কি কি কাজের ভিসা আছে
কিরগিজস্তানে কাজের জন্য সাধারণত একটি প্রধান ধরনের ভিসা রয়েছে, যা ওয়ার্ক ভিসা বা কাজের ভিসা নামে পরিচিত। এই ভিসা পেতে উচ্চ দক্ষতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে। আবার অনেক ভিসা আছে যেগুলোতে অবিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিছুদিন আগে এই দেশের সকল ভিসা বন্ধ ছিলো। তবে বর্তমান সময়ে এই দেশের অনেকগুলো ভিসা পাওয়া যায়, নিচে সেই ভিসাগুলোর নাম উল্লেখ করা হলো।
- কোম্পানি ভিসা।
- ড্রাইভিং ভিসা।
- ক্লিনার ভিসা।
- হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসা।
- কৃষি ভিসা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।
- ফ্যাক্টরি ভিসা।
- শ্রমিক ও লেভার ভিসা।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসার পাওয়ার যোগ্যতা
কিরগিজস্তানে কাজের ভিসা পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অফার, ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কিরগিজস্তান কাজের ভিসা পেতে কাজের যোগ্যতা থাকতে হবে। কাজের জন্য নুন্যতম বয়স হতে হবে। নিচে উল্লেখ করা হলো কিরগিজস্তান কাজের ভিসা পেতে কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন।
- ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- এনআইডি বা জন্মসনদের ফটো কপি।
- কাজের অভিজ্ঞতার ডকুমেন্ট।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
- ভ্রমণ বিমার ডকুমেন্ট।
- ভিসার আবেদন পত্র।
- পুলিশ ক্লিয়ারনেস। কাজের জন্য নুন্যতম বয়স (যদি উল্লখ থাকে)
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসা আবেদন
এই দেশের ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে কাজের ভিসার অনুমোদন পেতে হবে। অনুমোদন পাওয়ার পর কিরগিজস্তানের ভিসা আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে করবেন সেই নিয়ম নিচে দেওয়া হলো।
- প্রথমে আপনাকে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে evisa.e-gov.kg
- এরপর আপনার সামনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে। সেখানে Apply For Visa অপশনে ক্লিক করতে হবে।
- ক্লিক করার পর ৬টি ধাপ রয়েছে সেই ধাপগুলো পূরন করতে হবে।
- পূরন করার পর আবেদন ফি জমা দিয়ে Submit বাটনে ক্লিক করলে আবেদন হয়ে যাবে।
কিরগিজস্তান কাজের ভিসার খরচ কত?
কিরগিজস্তান কাজের ভিসার খরচ কত? এই দেশের ভিসার খরচ সাধারনত ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হতে পারে। এটি ডিপেন্ড করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর এবং আপনি যদি সরকারিভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে ২-৩ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনি উক্ত দেশ প্রবেশ করতে পারবেন।
FAQ
- কিরগিজস্তানের এক্সিট ভিসার দাম $২০০ এর কাছাকাছি হতে পারে।
- স্টুডেন্ট ভিসার খরচ ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে বলা হয়েছে।
- দূতাবাস আপনার ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া করতে সাধারণত প্রায় ৭ কার্যদিবস সময় নেয়।
শেষ কথা
আপনি যদি আমাদের আজকের এই পোষ্টের উল্লেখিত তথ্য গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে কিরগিজস্তানের কাজের ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। আপনাদের যদি আরো কোন তথ্য জানতে হয় তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।