আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আমরা যারা জীবিকার ক্ষেত্রে বিদেশে পাড়ি জমাতে চাচ্ছি তাদের জন্য সুখবর নিয়ে আসলো আয়ারল্যান্ড। বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দিচ্ছে ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ড। চলতি বছর এখন পর্যন্ত নতুন করে ১৮ হাজারের বেশি ওয়ার্ক পারমিট এর অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে যারা আয়ারল্যান্ড যেতে যাচ্ছে কিন্তু তারা সঠিকভাবে আবেদন না করা যেতে পারছে না। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেবো আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য এবং কিভাবে আপনারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিটের জন্য ভিসা আবেদন করবেন।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা যারা কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ড। বিভিন্ন দেশ থেকে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় প্রচুর কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে তারা। বর্তমান সময়ে আয়ারল্যান্ডে দুই ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে। দুই ধরনের ভিসার মধ্যে প্রথম হচ্ছে জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

  • আয়ারল্যান্ড ক্রিটিক্যাল স্কিলস এমপ্লয়মেন্ট পারমিট উচ্চ-দক্ষ আন্তর্জাতিক কর্মীদের দেয়া হয়। ক্রিটিক্যাল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট পারমিটের অধীনে ন্যাচারাল ও সোশাল সাইন্স, প্রকৌশল, আইসিটি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাদান এবং শিক্ষা, স্থাপত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রের পেশাদাররা আবেদন করতে পারেন।

জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

  • জেনারেল কাজের ভিসা পারমিট আবেদন করতে পারবেন যেকোন পেশার ব্যাক্তিরা। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নন-ইইউ নাগরিকদের আয়ারল্যান্ডে জব করার অনুমতি দেয়। সাধারণ জব পারমিটের জন্য যোগ্য হতে, আপনাকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজের জন্য আয়ারল্যান্ড এ পাড়ি জমা আছে কিন্তু বাংলাদেশ এদিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ তারা সঠিকভাবে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে না। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসায় যেতে পারে না। তাই আপনাদের সবাইকে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম জানিয়ে দিব।

  • প্রথমেই আপনাকে https://www.irishimmigration.ie/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • ওয়েবসাইটটি ওপেন করার পর আপনার সামনে একটি ফরম চলে আসবে সেই ফরম পূরণ করতে হবে।
  • সেই ফরমে আপনার নাম, জন্ম তারিখ সহ ব্যক্তিগত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে সাবমিট দিতে হবে।
  • সাবমিট করে দেওয়ার সাথে সাথেই আপনার আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন হয়ে যাবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন

আপনারা যারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের সবারই কিছু কাগজপত্র থাকা লাগবে। যদি সেই কাগজপত্র থাকে তাহলেই আপনারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই হয়তো জানেন না আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। নিচে উল্লেখ করা হলো আয়ারল্যান্ড ওয়ার্কার ভিসার জন্য যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন।

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • এনআইডি কার্ডের ফটোকপি
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পার্সোনাল ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট 
  • করোনাভাইরাসের টিকার কার্ড

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ কত

আপনাদের অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে আয়ারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং হতে কত টাকা খরচ হয়। আপনি যদি ভারতের দূতাবাস থেকে যান তাহলে কিছু টাকা কম খরচ হবে আর যদি আপনি এজেন্সির মাধ্যমে চান তাহলে কিছু টাকা বেশি লাগবে। আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং এর খরচ কত হয় এটা জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করেন। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেব আয়ারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং হতে কত টাকা খরচ হয়।

  • আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য যদি ভারতের দূতাবাস থেকে আবেদন করেন তাহলে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
  • আর আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
  • আয়ারল্যান্ডের ভিসার ধরন অনুযায়ী কিছু টাকা কম বেশি হতে পারে।

আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কত টাকা

আপনারা যারা আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মনের মধ্যে প্রশ্ন থাকে আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কি রকম। আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অনেক কাজ রয়েছে বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকম বেতন। আর আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের বেতন নির্ধারণ করা হবে। আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা। আর যদি কোন ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে তার বেতন অনেক বেশি। আশা করি আয়ারল্যান্ডের কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

শেষ কথা

এই পোস্টে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য। যদি অন্যান্য দেশের ভিসা সম্পর্কে তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।