আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ (নতুন তথ্য)

আয়ারল্যান্ড ২০২৫ সালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের নিয়োগ অব্যাহত রাখবে। আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান এবং বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মীর চাহিদা রয়েছে। ২০২১ সালে কর্মী সংকটের পর, আয়ারল্যান্ড সরকার ওয়ার্ক পারমিট নীতিমালা শিথিল করেছে এবং ২০২২ সালে ৪০,০০০ ওয়ার্ক পারমিট অনুমোদন দিয়েছে।

আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ সন্ধানকারীদের জন্য ২০২৫ সালে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে নতুন সুযোগ-সুবিধা এবং নিয়মাবলী প্রকাশিত হয়েছে। ইউরোপের অন্যতম উন্নত এই দেশটি বৈধ বিদেশি কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উন্নয়নকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্য নিয়েছে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ধরন

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

  • আয়ারল্যান্ড ক্রিটিক্যাল স্কিলস এমপ্লয়মেন্ট পারমিট উচ্চ-দক্ষ আন্তর্জাতিক কর্মীদের দেয়া হয়। ক্রিটিক্যাল স্কিল এমপ্লয়মেন্ট পারমিটের অধীনে ন্যাচারাল ও সোশাল সাইন্স, প্রকৌশল, আইসিটি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাদান এবং শিক্ষা, স্থাপত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রের পেশাদাররা আবেদন করতে পারেন।

জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

  • জেনারেল কাজের ভিসা পারমিট আবেদন করতে পারবেন যেকোন পেশার ব্যাক্তিরা। জেনারেল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নন-ইইউ নাগরিকদের আয়ারল্যান্ডে জব করার অনুমতি দেয়। সাধারণ জব পারমিটের জন্য যোগ্য হতে, আপনাকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের যোগ্যতা

২০২৫ সালের নিয়ম অনুযায়ী, আয়ারল্যান্ডে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি থাকা আবশ্যক:

  • বৈধ পাসপোর্ট।
  • নির্ধারিত পেশার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা।
  • স্পনসরশিপ লেটার বা চাকরির প্রস্তাব (অফার লেটার)।
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (যেমন আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোর)।
  • বয়সসীমা: সাধারণত ১৮-৪৫ বছর।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম

বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজের জন্য আয়ারল্যান্ড এ পাড়ি জমা আছে কিন্তু বাংলাদেশ এদিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকার কারণ তারা সঠিকভাবে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে না। যার কারণে বাংলাদেশের মানুষ আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসায় যেতে পারে না। তাই আপনাদের সবাইকে আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার নিয়ম জানিয়ে দিব।

  • ব্রাউজারে https://www.irishimmigration.ie/ লিঙ্কটি খুলুন।
  • ওয়েবসাইটের Employment Permits বা Work Permits বিভাগে যান।
  • Irish Immigration ওয়েবসাইটটি আপনাকে Employment Permits Online System (EPOS)-এ নিয়ে যাবে।
  • EPOS এ লগইন করুন। অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন (যদি না থাকে)।
  • Application Form পূরণ করুন: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য,কাজের তথ্য এবং নিয়োগকর্তার তথ্য।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করুন।
  • আবেদন ফি পেমেন্ট করুন (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে)।
  • ফর্ম ও ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পর, আপনি একটি Tracking Number পাবেন।
  • এই নম্বর দিয়ে আপনার আবেদন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারবেন।
  • ওয়েবসাইটে Long Stay (D) Visa-র জন্য আবেদন করুন।
  • ভিসা ফি পরিশোধ করুন এবং নথি জমা দিন।
  • Check Application Status বিভাগ থেকে আপনার আবেদনটির স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি প্রয়োজন

আপনারা যারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের সবারই কিছু কাগজপত্র থাকা লাগবে। যদি সেই কাগজপত্র থাকে তাহলেই আপনারা আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই হয়তো জানেন না আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন। নিচে উল্লেখ করা হলো আয়ারল্যান্ড ওয়ার্কার ভিসার জন্য যে যে কাগজপত্র প্রয়োজন।

  • পাসপোর্ট: বৈধ পাসপোর্ট এবং এর কপি।
  • চাকরির অফার লেটার: আয়ারল্যান্ডের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ: প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে।
  • কাজের অভিজ্ঞতার সনদ: (যদি প্রয়োজন হয়)।
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ: (যদি প্রয়োজন হয়)।
  • বেতন বিবরণী এবং চুক্তি: চাকরির শর্তাবলী।
  • অনুমোদিত আবেদন ফি প্রদানের রসিদ।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ কত

আপনাদের অনেকের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগতে পারে আয়ারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং হতে কত টাকা খরচ হয়। আপনি যদি ভারতের দূতাবাস থেকে যান তাহলে কিছু টাকা কম খরচ হবে আর যদি আপনি এজেন্সির মাধ্যমে চান তাহলে কিছু টাকা বেশি লাগবে। আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রসেসিং এর খরচ কত হয় এটা জানার জন্য অনেকেই অনলাইনে অনুসন্ধান করেন। আজকের এই পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেব আয়ারল্যান্ড ভিসা প্রসেসিং হতে কত টাকা খরচ হয়।

  • আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসার জন্য যদি ভারতের দূতাবাস থেকে আবেদন করেন তাহলে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
  • আর আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে।
  • আয়ারল্যান্ডের ভিসার ধরন অনুযায়ী কিছু টাকা কম বেশি হতে পারে।

আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কত টাকা

আপনারা যারা আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মনের মধ্যে প্রশ্ন থাকে আয়ারল্যান্ড কাজের বেতন কি রকম। আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার অনেক কাজ রয়েছে বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন রকম বেতন। আর আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের বেতন নির্ধারণ করা হবে। আয়ারল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা। আর যদি কোন ব্যক্তি ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে তার বেতন অনেক বেশি। আশা করি আয়ারল্যান্ডের কাজের বেতন সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

  • প্রযুক্তি খাত: €৫০,০০০ – €৮০,০০০।
  • স্বাস্থ্যসেবা: €৪০,০০০ – €৭০,০০০।
  • নির্মাণ খাত: €৩৫,০০০ – €৬০,০০০।

শেষ কথা

এই পোস্টে আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য। যদি অন্যান্য দেশের ভিসা সম্পর্কে তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।