দুবাই হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং আরব আমিরাতের রাজধানী। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বহু সংখ্যক মানুষ দুবাইয়ে পৌঁছে থাকেন। আপনার যদি দুবাইয়ের ভিসা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দুবাইয়ের টিকিট ক্রয় করতে হবে।
কারন যেকোনো দেশে প্রবেশ করতে হলে টিকিট ক্রয় করতে হবে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত? আমরা এই পোস্টে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত।
দুবাই থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট) বিমান পরিষেবা প্রদান করে এমন এয়ারলাইন্সগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো। ২০২৫ সালেও এই এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রী পরিবহন চালিয়ে যেতে পারে.
১. বাংলাদেশি এয়ারলাইন্স:
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ন্যাশনাল ক্যারিয়ার; সরাসরি ফ্লাইটে যাতায়াতের জন্য জনপ্রিয়।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিশেষত দুবাই-ঢাকা এবং দুবাই-চট্টগ্রাম রুটে সেবা প্রদান করে।
২. মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্স:
ফ্লাই দুবাই দুবাই থেকে সরাসরি ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে ফ্লাইট রয়েছে।
এমিরেটস এয়ারলাইন্স দুবাই থেকে বাংলাদেশে প্রিমিয়াম সার্ভিসের জন্য পরিচিত।
এয়ার অ্যারাবিয়া বাজেট-ফ্রেন্ডলি ফ্লাইট সরবরাহ করে, সাধারণত ট্রানজিটসহ।
গালফ এয়ার ট্রানজিট সুবিধাসহ সেবা প্রদান করে।
কুয়েত এয়ারওয়েজ ট্রানজিটসহ দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে।
এতিহাদ এয়ারওয়েজ আবুধাবি ট্রানজিট নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে।
কাতার এয়ারওয়েজ দোহা ট্রানজিটসহ উচ্চমানের পরিষেবা প্রদান করে।
৩. অন্যান্য এয়ারলাইন্স:
ইন্ডিগো এয়ারলাইনস কম খরচে পরিষেবা; ট্রানজিট রুটে ফ্লাইট অফার করে।
শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স কলম্বো ট্রানজিট নিয়ে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা যায়।
দুবাই টু ঢাকা ফ্লাইট
ফ্লাইট সময়সূচী:
এমিরেটস এয়ারলাইনস:
EK 582: দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (DXB) থেকে স্থানীয় সময় ০২:০০ এ উড্ডয়ন, ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (DAC) এ স্থানীয় সময় ০৮:৪০ এ অবতরণ।
EK 586: দুবাই থেকে স্থানীয় সময় ১০:৩০ এ উড্ডয়ন, ঢাকা এ স্থানীয় সময় ১৭:২০ এ অবতরণ।
EK 584: দুবাই থেকে স্থানীয় সময় ১৬:২৫ এ উড্ডয়ন, ঢাকা এ স্থানীয় সময় ২৩:০০ এ অবতরণ।
ফ্লাই দুবাই:
ফ্লাইটের সময়সূচী এবং ভাড়ার বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফ্লাই দুবাইয়ের ওয়েবসাইটে দেখুন।
দুবাই থেকে স্থানীয় সময় ২১:৪৫ এ উড্ডয়ন, ঢাকা এ স্থানীয় সময় ০৪:২৫ এ অবতরণ।
দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত
ভারত, বাংলাদেশ, আরব আমিরাত, ওমান সহ আরো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স দুবাই থেকে ঢাকা ফ্লাইট পরিচালনা করে। আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি এয়ারলাইন্স নিয়ে দুবাই যেতে পারেন। তবে এই এয়ারলাইন্স গুলোর টিকিটের মূল্য বিভিন্ন রকম হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকিটের দাম কত।
বাই থেকে বাংলাদেশের (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট) ফ্লাইটের টিকিটের দাম ২০২৫ সালে এয়ারলাইন, বুকিংয়ের সময় এবং আসনের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করবে। ইকোনমি এবং বিজনেস ক্লাসের সম্ভাব্য টিকিটের দাম এবং ট্রানজিটের তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের সম্ভাব্য দাম (একমুখী):
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (নন-স্টপ):
দাম: প্রায় ২২,০০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা
ট্রানজিট: সরাসরি ফ্লাইট (কোনও ট্রানজিট নেই)
ফ্লাই দুবাই:
দাম: ২৩,০০০ থেকে ২৭,০০০ টাকা
ট্রানজিট: সরাসরি বা শারজাহ (কখনও কখনও ট্রানজিট)
এমিরেটস এয়ারলাইন্স:
দাম: ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা
ট্রানজিট: সরাসরি ফ্লাইট (অথবা অন্য শহরে সংযোগ)
কাতার এয়ারওয়েজ:
দাম: ৩৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা
ট্রানজিট: দোহা
গালফ এয়ার:
দাম: ৩২,০০০ থেকে ৩৭,০০০ টাকা
ট্রানজিট: মানামা, বাহরাইন
কুয়েত এয়ারওয়েজ:
দাম: ৩৪,০০০ থেকে ৩৮,০০০ টাকা
ট্রানজিট: কুয়েত সিটি
বিজনেস ক্লাসের টিকিটের সম্ভাব্য দাম (একমুখী):
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স (নন-স্টপ):
দাম: ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা
ট্রানজিট: সরাসরি ফ্লাইট
ফ্লাই দুবাই:
দাম: ৬৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা
ট্রানজিট: শারজাহ
এমিরেটস এয়ারলাইন্স:
দাম: ৮০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা
ট্রানজিট: সরাসরি
কাতার এয়ারওয়েজ:
দাম: ৯০,০০০ থেকে ১,১০,০০০ টাকা
ট্রানজিট: দোহা
গালফ এয়ার:
দাম: ৮৫,০০০ থেকে ৯৫,০০০ টাকা
ট্রানজিট: মানামা, বাহরাইন
কুয়েত এয়ারওয়েজ:
দাম: ৮৫,০০০ থেকে ৯৫,০০০ টাকা
ট্রানজিট: কুয়েত সিটি
দুবাই টিকেট দাম কত ২০২৫
২০২৫ সালে দুবাইয়ের টিকেটের দাম পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ এটি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন আপনার যাত্রার স্থান, ট্রিপের সময়, এবং বুকিংয়ের তারিখ। সাধারণত, নিউ ইয়র্ক বা লন্ডন থেকে দুবাইয়ের রিটার্ন টিকেটের দাম $৬০০ থেকে $১,০০০ (প্রায় ৭০,০০০ টাকা থেকে ১,২০,০০০ টাকা) হতে পারে। তবে কিছু সস্তা টিকেটও পাওয়া যেতে পারে, যেমন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে টিকেট শুরু হতে পারে $৩২৭ (প্রায় ৩৫,০০০ টাকা)।
দুবাইয়ের টিকিট কাটার নিয়ম
বুকিং সাইটে প্রবেশ:
প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য ফ্লাইট বুকিং সাইটে যান, যেমন Skyscanner, Google Flights, Emirates, FlyDubai বা MakeMyTrip
। এখানে আপনি আপনার যাত্রার তথ্য প্রদান করে ফ্লাইট খুঁজে পাবেন।
ফ্লাইটের তথ্য প্রদান:
যাত্রার স্থান (উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা থেকে দুবাই) এবং যাত্রার তারিখ সিলেক্ট করুন। অনেক সাইটে “Flexible Dates” অপশন থাকে, যা আপনাকে বিভিন্ন তারিখে সস্তা টিকিট খুঁজে দেয়।
ফ্লাইট নির্বাচন:
সাইট থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফ্লাইট নির্বাচন করুন। এখানে ইকোনমি, বিজনেস, অথবা ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট থাকতে পারে। দাম এবং সুবিধার তুলনা করে শ্রেণী নির্বাচন করুন।
ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ:
ফ্লাইট বুকিংয়ের জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, পাসপোর্টের তথ্য, ইমেইল বা ফোন নম্বর) প্রদান করতে হবে।
পেমেন্ট:
পেমেন্টের জন্য সাধারণত ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অথবা PayPal ব্যবহার করা হয়। সঠিক পেমেন্ট নিশ্চিত করার পর একটি ভাউচার এবং ই-টিকিট আপনার ইমেইলে পাঠানো হবে।
টিকিটের শর্তাদি পরীক্ষা:
টিকিটের শর্তাদি (যেমন ক্যান্সেলেশন পলিসি, ব্যাগেজ পলিসি) পড়ুন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।
শেষ কথা
আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যেমে আপনারা জানতে পেরেছেন দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত। আরো অন্যন্য দেশের টিকিটের দাম জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।