দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত

দুবাই হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং আরব আমিরাতের রাজধানী। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বহু সংখ্যক মানুষ দুবাইয়ে পৌঁছে থাকেন। আপনার যদি দুবাইয়ের ভিসা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই দুবাইয়ের টিকিট ক্রয় করতে হবে। কারন যেকোনো দেশে প্রবেশ করতে হলে টিকিট ক্রয় করতে হবে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত? আমরা এই পোস্টে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত।

দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত

ভারত, বাংলাদেশ, আরব আমিরাত, ওমান সহ আরো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন এয়ারলাইন্স দুবাই থেকে ঢাকা ফ্লাইট পরিচালনা করে। আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি এয়ারলাইন্স নিয়ে দুবাই যেতে পারেন। তবে এই এয়ারলাইন্স গুলোর টিকিটের মূল্য বিভিন্ন রকম হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকিটের দাম কত।

ইমিরেটস এয়ারলাইন্স

  • ইকোনমি ক্লাসে টিকিটের দাম প্রায় AED 2,500 থেকে AED 4,000 এর মধ্যে থাকে।
  • বিজনেস ক্লাসে এটি AED 7,000 থেকে AED 10,000 বা তার বেশি হতে পারে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

১. ইকোনমি ক্লাস

  • ওয়ান-ওয়ে (একমুখী):
    দাম সাধারণত AED ৬৫০ থেকে AED ১,৬৫০ (প্রায় ২০,০০০ থেকে ৪৮,০০০ টাকা)।
  • রিটার্ন (দুইমুখী):
    দাম AED ১,৫৯০ থেকে AED ২,৫০০ (প্রায় ৫০,০০০ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) হতে পারে।

২. বিজনেস ক্লাস

  • ওয়ান-ওয়ে (একমুখী):
    দাম AED ৩,৫০০ থেকে AED ৪,৫০০ (প্রায় ১,১০,০০০ থেকে ১,৪০,০০০ টাকা)।
  • রিটার্ন (দুইমুখী):
    দাম প্রায় AED ৬,০০০ বা তার বেশি হতে পারে।

Flydubai এয়ারলাইন্স

ইকোনমি ক্লাস

  • ওয়ান-ওয়ে (একমুখী):
    দাম সাধারণত AED ৬০৫ থেকে AED ১,৫০০ (প্রায় ১৮,০০০ থেকে ৪৫,০০০ টাকা)।
  • রিটার্ন (দুইমুখী):
    দাম AED ১,২০০ থেকে AED ২,৫০০ (প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ৭৭,০০০ টাকা) হতে পারে।

বিজনেস ক্লাস

  • ওয়ান-ওয়ে (একমুখী):
    দাম AED ৩,৫০০ থেকে AED ৪,৫০০ (প্রায় ১,১০,০০০ থেকে ১,৪০,০০০ টাকা)।
  • রিটার্ন (দুইমুখী):
    বিজনেস ক্লাসের টিকিট সাধারণত AED ৬,৫০০ বা তার বেশি হতে পারে।

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স

ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের দাম:

  • ওয়ান-ওয়ে (একদিকে):
    প্রায় AED ৭০০ থেকে AED ১,২০০ (প্রায় ২১,০০০ থেকে ৩৭,০০০ টাকা)।
  • রিটার্ন (দুইমুখী):
    প্রায় AED ১,৫০০ থেকে AED ২,৫০০ (প্রায় ৪৫,০০০ থেকে ৭৫,০০০ টাকা)।
  • দুবাই থেকে বাংলাদেশ (ঢাকা) ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম সাধারণত ইকোনমি ক্লাসের জন্য প্রযোজ্য, কারণ ইন্ডিগো তাদের ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাস সরবরাহ করে না।

Jazeera Airways

ইকোনমি ক্লাস:

  • একটি একমুখী টিকিটের দাম: সাধারণত AED ৫৭৩ থেকে শুরু হয়, তবে নির্দিষ্ট তারিখ এবং সিটের প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে এটি AED ১,২০০ পর্যন্ত হতে পারে​।

বিজনেস ক্লাস:

  • একটি একমুখী টিকিটের দাম: বিজনেস ক্লাসের টিকিটের দাম সাধারণত AED ২,৫০০ থেকে AED ৪,০০০ বা তার বেশি হতে পারে।

Vistara এয়ারলাইন্স

ইকোনমি ক্লাস:

  • একমুখী (ওয়ান-ওয়ে): প্রায় AED ১,১৮৫ (প্রায় ৩৫,০০০ থেকে ৩৭,০০০ টাকা)।
  • দুইমুখী (রিটার্ন): এই দামের পরিসীমা সাধারণত AED ২,৫০০ বা তার বেশি হতে পারে, ভ্রমণের তারিখ এবং বুকিং সময়ের উপর নির্ভর করে।

বিজনেস ক্লাস:

  • একমুখী (ওয়ান-ওয়ে): প্রায় AED ৩,৫০০ থেকে AED ৫,০০০ (প্রায় ১,১০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা)।
  • দুইমুখী (রিটার্ন): বিজনেস ক্লাসের টিকিটের দাম AED ৬,০০০ বা তার বেশি হতে পারে।

দুবাই টিকেট দাম কত ২০২৪

২০২৪ সালে দুবাইয়ের টিকেটের দাম পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ এটি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন আপনার যাত্রার স্থান, ট্রিপের সময়, এবং বুকিংয়ের তারিখ। সাধারণত, নিউ ইয়র্ক বা লন্ডন থেকে দুবাইয়ের রিটার্ন টিকেটের দাম $৬০০ থেকে $১,০০০ (প্রায় ৭০,০০০ টাকা থেকে ১,২০,০০০ টাকা) হতে পারে। তবে কিছু সস্তা টিকেটও পাওয়া যেতে পারে, যেমন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে টিকেট শুরু হতে পারে $৩২৭ (প্রায় ৩৫,০০০ টাকা)​। অফ-পিক সিজন বা রমজান মাসে দাম কম হতে পারে​। এছাড়া ফ্লাইট বুকিংয়ের ৪-৬ মাস আগে টিকেট নেওয়া গেলে সস্তা হতে পারে​।

দুবাইয়ের টিকিট কাটার নিয়ম

  • বুকিং সাইটে প্রবেশ:
    • প্রথমে একটি নির্ভরযোগ্য ফ্লাইট বুকিং সাইটে যান, যেমন Skyscanner, Google Flights, Emirates, FlyDubai বা MakeMyTrip
      । এখানে আপনি আপনার যাত্রার তথ্য প্রদান করে ফ্লাইট খুঁজে পাবেন।
  • ফ্লাইটের তথ্য প্রদান:
    • যাত্রার স্থান (উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা থেকে দুবাই) এবং যাত্রার তারিখ সিলেক্ট করুন। অনেক সাইটে “Flexible Dates” অপশন থাকে, যা আপনাকে বিভিন্ন তারিখে সস্তা টিকিট খুঁজে দেয়​।
  • ফ্লাইট নির্বাচন:
    • সাইট থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফ্লাইট নির্বাচন করুন। এখানে ইকোনমি, বিজনেস, অথবা ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট থাকতে পারে। দাম এবং সুবিধার তুলনা করে শ্রেণী নির্বাচন করুন​।
  • ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ:
    • ফ্লাইট বুকিংয়ের জন্য আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, পাসপোর্টের তথ্য, ইমেইল বা ফোন নম্বর) প্রদান করতে হবে​।
  • পেমেন্ট:
    • পেমেন্টের জন্য সাধারণত ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অথবা PayPal ব্যবহার করা হয়। সঠিক পেমেন্ট নিশ্চিত করার পর একটি ভাউচার এবং ই-টিকিট আপনার ইমেইলে পাঠানো হবে​।
  • টিকিটের শর্তাদি পরীক্ষা:
    • টিকিটের শর্তাদি (যেমন ক্যান্সেলেশন পলিসি, ব্যাগেজ পলিসি) পড়ুন, যাতে কোনো সমস্যা না হয়​।

শেষ কথা

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যেমে আপনারা জানতে পেরেছেন দুবাই থেকে বাংলাদেশের টিকেটের দাম কত। আরো অন্যন্য দেশের টিকিটের দাম জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

By tech-dustbin

এই ওয়েবসাইট মূলত আমার ইন্টারনেট জ্ঞান পরিচর্চা এবং তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে । আমি চেষ্টা করি প্রতিদিন টেকনোলজি নিয়ে নতুন কিছু শিখতে এবং তা এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সবার সাথে শেয়ার করতে । নতুন নতুন তথ্য জানতে যারা পছন্দ করেন তারা টেক ডাস্টবিন সাইট ফলো করতে পারেন।