সপ্নের দেশ আমেরিকা জীবনযাত্রা এবং উন্নতমানের কাজের দিকে দিয়ে অনেক পরিচিত সারা বিশ্বে। আপনি যদি অনেক কর্মঠ ব্যাক্তি হন তাহলে আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনার জন্য অনেক ভালো সুযোগ। বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে যারা আমেরিকা যেতে চায়। বৈধভাবে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে কি কি লাগবে অনেকেই জানেন না। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি।
আমেরিকার ভিসা কয়েক ধরনের তার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় এমপ্লয়মেন্ট ভিসা। কারন এই ভিসায় সহযে এপ্লাই করা যায়। বাংলাদেশ থেকে এই ভিসায় এপ্লাই করতে পারবেন। কিভাবে এপ্লাই করবেন, খরচ কত এবং কি কি লাগে সব কিছু জানাবো আজকের এই পোস্টে।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যা নির্দিষ্ট কাজের প্রয়োজনীয়তা এবং আবেদনকারীর যোগ্যতার উপর নির্ভর করে। প্রধান ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসাগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো।
১. এইচ-১বি ভিসা (H-1B Visa)
২. এইচ-২এ ও এইচ-২বি ভিসা (H-2A and H-2B Visa)
৩. এল-১ ভিসা (L-1 Visa)
৪. ওয়র্কিং হলিডে ভিসা (Working Holiday Visa)
৫. ই-২ ভিসা (E-2 Investor Visa)
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যায়? বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ আছে যারা আমেরিকা যেতে চায় কাজের জন্য। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় আমেরিকা যাওয়া যায়নি। এখন কি যাওয়া যায়? হ্যাঁ এখন বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় আমেরিকা যাওয়া যায়। কিন্তু টাকা ১২ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মতন খরচ হয়ে যায়। আর আমেরিকা থেকে কোনো কোম্পানি আপনাকে অফার করে থাকে তাহলে খরচ অনেক কম হয়।
আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
আমেরিকাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। সাধারণত, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি কাজের অফার পেতে হবে এবং তারপর আপনার নিয়োগকর্তা আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করবে। নিচে আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।
- নিয়োগকর্তার স্পনসরশিপ: আপনাকে আমেরিকার একটি কোম্পানি থেকে কাজের অফার পেতে হবে, এবং তারা আপনার জন্য স্পনসর হবে।
- অফিশিয়াল ওয়েবসাইট: তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটের লিংকঃ https://www.uscis.gov/
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদন করতে হলে পাসপোর্ট, কাজের অফার লেটার, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ, এবং অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফরম পূরণ: আপনি DS-160 ফর্মটি অনলাইনে পূরণ করবেন এবং আবেদন ফি প্রদান করবেন।
- ইন্টারভিউ: পরবর্তীতে, আমেরিকান দূতাবাসে আপনার ভিসা ইন্টারভিউ নির্ধারণ করতে হবে। ইন্টারভিউতে আপনার ইংরেজি দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা
আমেরিকাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলো ভিসার ধরন ও আপনার কাজের ক্ষেত্র অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে সাধারণভাবে যা প্রয়োজন হয় তা হলো:
- জব অফার লেটার: আমেরিকান কোম্পানির কাছ থেকে একটি বৈধ কাজের অফার থাকা বাধ্যতামূলক।
- স্পনসরশিপ ডকুমেন্ট: আপনার নিয়োগকর্তা USCIS-এর মাধ্যমে আপনার জন্য একটি আবেদন করবে, যা শ্রমিক হিসেবে আপনাকে আমেরিকায় কাজ করার অনুমতি দেবে।
- DS-160 ফর্ম: ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে। এই ফর্মটি অনলাইনে পাওয়া যাবে এবং এটি ভিসা ইন্টারভিউর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- পাসপোর্ট: বৈধ পাসপোর্ট, যা আপনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস পর পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে।
- ফটো: নির্ধারিত ফরম্যাটে একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ভিসা ফি: নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে এবং এর রসিদ দেখাতে হবে।
- ইংরেজি দক্ষতা: কাজের প্রয়োজন অনুযায়ী ইংরেজিতে কথোপকথনের দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ: শিক্ষাগত সনদপত্র ও কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট লাগতে পারে।
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ: আপনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের সময় খরচ মেটানোর সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে বর্তমানে কাজের ভিসায় যেতে চান ১৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা অথবা টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার মতন হবে।
FAQ:
আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪?
- আমেরিকার সর্বনিম্ন বেতন বাংলাদেশি টাকায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা।
আমেরিকা ভিসার দাম কত?
- আমেরিকা ভিসার দাম প্রায় ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মতন।
শেষ কথা
আশা করি আপনারা আজকের এই পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছেন আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে। আরো এরকম তথ্য পেতে আমাদের সাইটের সাথেই থাকুন।